টিউশন ফি
১০ মিনিট প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে টিউশন ফি প্রদান করতে হয়। টিউশন ফি একাডেমীর শিক্ষাবর্ষে ধারাবাহিকভাবে নির্ধারিত।
প্রতিটি ব্যাচে ১২ মাসের জন্য টিউশন ফি প্রদান করতে হয় । এটি এমন একটি নিয়মিত ফি যা শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাবর্ষ চলাকালীন প্রদান করবে।
মাসিক টিউশন ফি জমা দেওয়ার সময়সীমা
শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে তাদের মাসিক টিউশন ফি প্রদান করবে। এই সময়সীমার মধ্যে ফি প্রদানের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের সময়মতো তাদের একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থিক দায়িত্ব পালন করা।
যদি কোনো শিক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফি প্রদান করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জরিমানা দিতে হবে। এভাবে সময়মতো ফি প্রদানের মাধ্যমে জরিমানা এড়ানো সম্ভব।
টিউশন ফি প্রদানের পদ্ধতি
ফি প্রদানের জন্য একাডেমী বিভিন্ন পদ্ধতি প্রদান করে, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামতো পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারে:
- বিকাশ: সহজ এবং নিরাপদ ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ফি প্রদান করা যায়। বিকাশ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের ফি সহজেই জমা দিতে পারে।
- ক্যাশ প্রদান: যারা সরাসরি নগদ টাকা দিয়ে ফি প্রদান করতে চায়, তারা একাডেমীর অফিসে গিয়ে ক্যাশ প্রদান করতে পারবে।
অতিরিক্ত ফি
- ল্যাব ফি: যদি কোনো কোর্সের জন্য ল্যাব সেশন প্রয়োজন হয়, তাহলে প্রতি সেমিস্টারে ল্যাব ফি ধার্য করা হবে।
- উপকরণ খরচ: কোনো কোর্সের জন্য প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত স্টাডি মেটেরিয়াল বা সফটওয়্যার শিক্ষার্থীদের নিজের দায়িত্বে সংগ্রহ করতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন ফি
1. রেজিস্ট্রেশন ফি প্রদান করার সময়সীমা:
- রেজিস্ট্রেশন ফি অবশ্যই সেমিস্টার শুরুর এক সপ্তাহ আগে প্রদান করতে হবে।
- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফি প্রদান না করলে শিক্ষার্থীদের সেমিস্টারে অংশগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে এবং পরবর্তীতে রেজিস্ট্রেশন করতে অতিরিক্ত ফি ধার্য হতে পারে।
রেজিস্ট্রেশন ফি প্রদানের পদ্ধতি:
রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দেওয়ার জন্য একাধিক পদ্ধতি রয়েছে:
- বিকাশ: ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বিকাশ ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন ফি প্রদান করা সম্ভব।
- ক্যাশ প্রদান: সরাসরি একাডেমির অফিসে ক্যাশ জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ফি প্রদান করা যাবে।
ফেরতের নীতি
১. রেজিস্ট্রেশন ফি ফেরত:
- রেজিস্ট্রেশন ফি ফেরতযোগ্য নয়। কোর্সের জন্য একবার রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিলে তা আর ফেরত দেওয়া হবে না। এটি প্রশাসনিক খরচ এবং আসন সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- ডকুমেন্টারি প্রমাণ: শিক্ষার্থীকে তার পারিবারিক সমস্যার সত্যতা প্রমাণ করতে কোনো প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট (যেমন মেডিকেল রিপোর্ট, পারিবারিক ঘটনার প্রমাণ ইত্যাদি) জমা দিতে হতে পারে।
-
রেজিস্ট্রেশন ফি: রেজিস্ট্রেশন ফি সাধারণত ফেরতযোগ্য নয়, তবে গুরুতর পারিবারিক সমস্যা থাকলে একাডেমির অনুমোদনের ভিত্তিতে বিশেষ বিবেচনা করা হতে পারে।
২. টিউশন ফি ফেরতের শর্তাবলী:
- কোর্স শুরুর আগে বাতিল করলে: যদি শিক্ষার্থী কোর্স শুরু হওয়ার আগে বাতিল করে, তবে পুরো টিউশন ফি ১০০% ফেরত দেওয়া হবে।
- কোর্স শুরু হওয়ার ১ সপ্তাহের মধ্যে বাতিল করলে: টিউশন ফি-এর ৭০% ফেরত দেওয়া হবে।
-
কোর্স শুরু হওয়ার ১ মাসের মধ্যে বাতিল করলে: টিউশন ফি-এর ৫০% ফেরত দেওয়া হবে।
- ১ মাসের পরে বাতিল করলে: কোনো টিউশন ফি ফেরতযোগ্য নয়। একবার শিক্ষার্থী ১ মাসের পর সেমিস্টার চালিয়ে গেলে আর ফি ফেরত দেওয়া হবে না।
আবেদন প্রক্রিয়া:
- শিক্ষার্থীকে কোর্স বাতিলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত আবেদন করতে হবে।
- আবেদন জমা দেওয়ার পর, ফেরত প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং অনুমোদনের পর ৭-১০ কার্যদিবসের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে।
- ফেরত দেওয়ার পদ্ধতি একই থাকবে, যেমন যে মাধ্যমে ফি প্রদান করা হয়েছে (বিকাশ , ক্যাশ প্রদান )।
- আবার কোর্সে যোগদান: যদি শিক্ষার্থী পরবর্তীতে পারিবারিক সমস্যা সমাধান করে আবার কোর্সে যোগ দিতে চায়, একাডেমি তাকে পরবর্তী সেমিস্টারে ভর্তি হতে সহায়তা করতে পারে এবং পূর্বের কিছু ফি স্থানান্তরিত করা যেতে পারে।
- বিশেষ আবেদন: শিক্ষার্থী যদি কোনো বিশেষ অনুরোধ জানায়, তাহলে একাডেমি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় আলোচনা করবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
বিলম্ব ফি নীতি:
বিলম্ব ফি (Late Fee):
- শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে তাদের টিউশন ফি জমা দিতে বাধ্য। নির্ধারিত সময়সীমার পরে ফি জমা দিলে বিলম্ব ফি প্রযোজ্য হবে।
- সময়মতো ফি প্রদান না করলে শিক্ষার্থীর একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে সে সময়মতো পড়াশোনা শেষ করতে ব্যর্থ হতে পারে। এজন্য সময়মতো ফি পরিশোধ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২. দেরিতে ফি প্রদানের পরিণতি:
যদি শিক্ষার্থী ফি প্রদানের সময়সীমা দীর্ঘদিন অতিক্রম করে, তবে নিম্নলিখিত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে:
- ক্লাসে প্রবেশাধিকার বন্ধ: যদি শিক্ষার্থী দেরিতে ফি জমা দিতে থাকে এবং সেটি একাধিক মাসের জন্য হয়, তাহলে একাডেমি শিক্ষার্থীর ক্লাসে প্রবেশাধিকার বন্ধ করতে পারে। অর্থাৎ শিক্ষার্থী ক্লাস করতে পারবে না যতক্ষণ না ফি প্রদান সম্পূর্ণ হয়।
- সার্টিফিকেট আটকানো: শিক্ষার্থী যদি ফি পরিশোধ না করে কোর্স শেষ করে, তবে একাডেমি তার সার্টিফিকেট আটক রাখতে পারে। যতক্ষণ ফি সম্পূর্ণ পরিশোধ না হবে, সার্টিফিকেট বা ট্রান্সক্রিপ্ট প্রদান করা হবে না।
-
ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বন্ধ: দেরিতে ফি জমা দিলে শিক্ষার্থীদের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি নাও দেওয়া হতে পারে।
সময়মতো ফি প্রদান করার প্রয়োজনীয়তা:
যদি শিক্ষার্থী ফি প্রদানের সময়সীমা দীর্ঘদিন অতিক্রম করে, তবে নিম্নলিখিত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে:
- সময়মতো ফি প্রদান নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের ৫ তারিখের মধ্যে সব টিউশন ফি এবং অন্যান্য ফি জমা দিতে হবে। এটি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্রিয়াকলাপ অব্যাহত রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- সময়মতো ফি প্রদান নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হবে । উদাহরণস্বরূপ, যারা নির্ধারিত সময়ে নিয়মিত ফি প্রদান করবে, তাদের জন্য ছাড় বা অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা যেতে পারে।
1. কোর্স পরিবর্তন
প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব:
- কোনো কোর্সে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী না থাকলে বা সুনির্দিষ্ট কারণে কোর্সটি পরিচালনা সম্ভব না হলে, প্রতিষ্ঠান সেই কোর্সটি বাতিল করতে পারে।
- শিক্ষার্থীদের কোর্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।
শিক্ষার্থীর অধিকার:
- কোর্স বাতিল হলে, শিক্ষার্থীরা বিকল্প কোনো কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন অথবা রেজিস্ট্রেশন ফি সম্পূর্ণভাবে ফেরত পেতে পারে ।
- ফি ফেরতের জন্য শিক্ষার্থীদের কোর্স বাতিলের পরবর্তীতে আবেদন করতে হবে।
২. কোর্স পুনঃনির্ধারণ
প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব:
- যদি কোনো কোর্সের সময়সূচি, ক্লাসের দিন, বা সেশন পুনঃনির্ধারণের প্রয়োজন হয়, তবে প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের যথাসময়ে তা অবহিত করবে।
- ক্যাশ প্রদান: যারা সরাসরি নগদ টাকা দিয়ে ফি প্রদান করতে চায়, তারা একাডেমীর অফিসে গিয়ে ক্যাশ প্রদান করতে পারবে।
শিক্ষার্থীর অধিকার:
- পুনঃনির্ধারিত সময়সূচি যদি শিক্ষার্থীর অন্যান্য কোর্স বা কার্যক্রমের সাথে সাংঘর্ষিক হয়, তাহলে শিক্ষার্থী অন্য কোনও সেশন বা কোর্স বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
৩. পাঠ্যক্রম পরিবর্তন
প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব:
- শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য প্রতিষ্ঠান পাঠ্যক্রম বা সিলেবাসে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে পারে।
- শিক্ষার্থীদের পরিবর্তন সম্পর্কে আগেই অবহিত করা হবে এবং নতুন সিলেবাস অনুযায়ী শিক্ষাদান ব্যবস্থা করা হবে।
শিক্ষার্থীর অধিকার:
- বড় ধরনের পাঠ্যক্রম পরিবর্তন হলে, শিক্ষার্থী বিশেষ বিবেচনা বা পুনঃমূল্যায়নের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- শিক্ষার্থী যদি মনে করেন যে পরিবর্তিত পাঠ্যক্রম তাদের উপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে, তবে তারা পুনঃবিবেচনার অনুরোধ করতে পারবেন।
৪. অভিযোগ ও সমাধান প্রক্রিয়া
- শিক্ষার্থীরা যদি কোর্স বাতিল, পুনঃনির্ধারণ, বা পাঠ্যক্রম পরিবর্তন নিয়ে কোনও অভিযোগ করেন, প্রতিষ্ঠান তা সমাধানের জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে।
- প্রতিটি অভিযোগ দ্রুত এবং কার্যকরভাবে সমাধান করা হবে এবং সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
2. প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বাতিলকরণ
যদি "১০ মিনিটে প্রোগ্রাম" অ্যাকাডেমি কোনো কোর্স বাতিল করে, শিক্ষার্থীরা নিম্নলিখিত সমাধানগুলো পেতে পারেন:
অতিরিক্ত সুবিধা:
- কোর্স বাতিলের কারণে শিক্ষার্থীদের যদি পরীক্ষা বা শিক্ষাগত কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হয়, প্রতিষ্ঠান তা বিবেচনা করবে এবং উপযুক্ত সমন্বয় বা পুনঃমূল্যায়ন ব্যবস্থা করবে।
3. শিক্ষার্থীর প্রত্যাহার:
শুরুর সময়ের মধ্যে:
- শিক্ষার্থী যদি কোর্স শুরুর পরপরই প্রোগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করে, তবে রেজিস্ট্রেশন ফি বাদে অন্যান্য ফি (যেমন টিউশন ফি) ফেরত দেওয়া হবে।
পরবর্তী পর্যায়ে:
- যদি শিক্ষার্থী কিছুদিন পর প্রত্যাহার করেন, তবে টিউশন ফি-এর একটি নির্দিষ্ট অংশ ফেরত দেওয়া হবে, তবে রেজিস্ট্রেশন ফি ফেরতযোগ্য হবে না।
বিলম্বিত প্রত্যাহার:
- যদি শিক্ষার্থী দীর্ঘ সময় পর প্রোগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করেন, তবে কোনো ফি ফেরত দেওয়া হবে না। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে (যেমন স্বাস্থ্য সমস্যা বা জরুরি অবস্থা) প্রতিষ্ঠান বিশেষ বিবেচনায় ছাড় দিতে পারে।
প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া
লিখিত অনুরোধ:
- শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করতে হলে, একটি লিখিত আবেদন বা ইমেইল প্রেরণ করতে হবে, যেখানে প্রত্যাহারের কারণ উল্লেখ থাকবে।
অনুমোদন প্রক্রিয়া:
- প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীর আবেদন পর্যালোচনা করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে। অনুমোদন পাওয়ার পর ফেরতযোগ্য ফি (যদি প্রযোজ্য হয়) পরিশোধ করা হবে।
আর্থিক প্রভাব
ফি ফেরত নীতি:
- প্রত্যাহারের সময়সীমার ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থী ফি ফেরত পেতে পারেন। সময়সীমা অতিক্রান্ত হলে কোনো ফি ফেরতযোগ্য হবে না।
অবশিষ্ট অর্থের পরিশোধ:
- যদি কোনো শিক্ষার্থীর টিউশন বা অন্যান্য অর্থ বকেয়া থাকে, তবে তা পরিশোধের পরই প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে।
একাডেমিক প্রভাব
প্রথম দিকে প্রত্যাহার:
- প্রাথমিক পর্যায়ে প্রত্যাহার করলে শিক্ষার্থীর একাডেমিক রেকর্ডে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না, এবং 'Withdrawn' (প্রত্যাহারকৃত) স্ট্যাটাস দেখানো হবে না।
পরে প্রত্যাহার:
- কিছুদিন পর প্রত্যাহার করলে শিক্ষার্থীর রেকর্ডে 'Withdrawn' স্ট্যাটাস প্রদর্শিত হবে, তবে এটি তার GPA বা একাডেমিক গ্রেডে প্রভাব ফেলবে না।
বিশেষ পরিস্থিতি:
- স্বাস্থ্য বা জরুরি কারণের জন্য প্রত্যাহার করতে হলে, প্রতিষ্ঠান বিশেষ বিবেচনায় রেকর্ডে 'মেডিকেল বা বিশেষ প্রত্যাহার' হিসেবে উল্লেখ করতে পারে, যা শিক্ষার্থীর একাডেমিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
1. গ্রেডিং সিস্টেম:
১. মূল্যায়ন প্রক্রিয়া: শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কয়েকটি প্রধান মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে করা হবে:
- ক্লাস অ্যাসাইনমেন্ট: প্রতি কোর্সের জন্য নির্ধারিত অ্যাসাইনমেন্টগুলোর উপর নির্দিষ্ট মান অনুযায়ী মূল্যায়ন হবে।
- কুইজ এবং পরীক্ষা: প্রোগ্রামের প্রতিটি কোর্সে নিয়মিত কুইজ এবং এক বা একাধিক মধ্যবর্তী পরীক্ষা নেওয়া হবে।
- প্রজেক্ট ওয়ার্ক: শিক্ষার্থীদের জন্য কোর্সের বিষয়ভিত্তিক প্রজেক্ট কাজ বাধ্যতামূলক, যা তাদের ব্যবহারিক দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য মূল্যায়িত হবে।
- শ্রেণিকক্ষে অংশগ্রহণ: শিক্ষার্থীর ক্লাসে উপস্থিতি ও সক্রিয় অংশগ্রহণ মূল্যায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।
২. গ্রেডিং স্কেল: প্রতিটি কোর্সের জন্য নিম্নলিখিত গ্রেডিং স্কেল প্রয়োগ করা হবে:
- A+ : ৮০% বা তার বেশি
- A : ৭০% - ৭৯%
- B+ : ৬০% - ৬৯%
- B : ৫০% - ৫৯%
- C : ৪০% - ৪৯%
- F : ৪০% এর নিচে (ফেল)
৩. গ্রেড পর্যালোচনা বা আপত্তি করার প্রক্রিয়া: শিক্ষার্থীরা যদি কোনো গ্রেডের বিষয়ে আপত্তি করতে চায় বা তা পর্যালোচনা করার অনুরোধ জানাতে চায়, তবে তারা নীচের প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারবে:
- প্রথম ধাপ: শিক্ষার্থীকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে এবং তার মূল্যায়ন নিয়ে আলোচনা করতে হবে। শিক্ষকের কাছ থেকে পর্যালোচনার ফলাফল জানানো হবে।
- দ্বিতীয় ধাপ: যদি শিক্ষার্থী শিক্ষকের মূল্যায়নে সন্তুষ্ট না হন, তবে একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়ে শিক্ষার্থী বিভাগীয় প্রধানের কাছে আপিল করতে পারবে।
- তৃতীয় ধাপ: বিভাগীয় প্রধানের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে, এবং তা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে করা হবে।
৪. বিশেষ মূল্যায়ন: শিক্ষার্থীর যদি কোনো শারীরিক অসুস্থতা বা জরুরি কারণে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা সম্ভব না হয়, তবে লিখিত প্রমাণের ভিত্তিতে বিশেষ মূল্যায়নের আবেদন করা যেতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হতে পারে।
2. কোর্স সম্পন্ন করা
- কোর্স বাতিল হলে, শিক্ষার্থীরা বিকল্প কোনো কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন অথবা রেজিস্ট্রেশন ফি সম্পূর্ণভাবে ফেরত পেতে পারে ।
- ফি ফেরতের জন্য শিক্ষার্থীদের কোর্স বাতিলের পরবর্তীতে আবেদন করতে হবে।
3. সার্টিফিকেট বা ডিগ্রী
প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব:
- যদি কোনো কোর্সের সময়সূচি, ক্লাসের দিন, বা সেশন পুনঃনির্ধারণের প্রয়োজন হয়, তবে প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের যথাসময়ে তা অবহিত করবে।
- ক্যাশ প্রদান: যারা সরাসরি নগদ টাকা দিয়ে ফি প্রদান করতে চায়, তারা একাডেমীর অফিসে গিয়ে ক্যাশ প্রদান করতে পারবে।
1. শিক্ষার্থীদের আচরণবিধি
১. ক্লাসরুমে আচরণ
সম্মানজনক আচরণ:
- শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে শিক্ষক ও সহপাঠীদের প্রতি সর্বদা সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। শিক্ষাগত পরিবেশকে শান্তিপূর্ণ ও কার্যকর রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে নির্ধারিত নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে।
শৃঙ্খলা বজায় রাখা:
- ক্লাস চলাকালীন অযথা শোরগোল বা অন্যের কাজে বিঘ্ন ঘটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে শিক্ষক ব্যবস্থা নিতে পারেন।
মোবাইল ফোন ব্যবহার:
- ক্লাস চলাকালীন মোবাইল ফোন বন্ধ রাখতে হবে যাতে অন্যের পড়াশোনায় , যাতে কোনো বাধা সৃষ্টি না হয়।
পড়াশোনায় অংশগ্রহণ:
- প্রতিটি ক্লাসে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং শিক্ষকের দেওয়া নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে হবে। যথাসময়ে অ্যাসাইনমেন্ট এবং প্রোজেক্ট এর কাজ জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
২. একাডেমিক সততা
প্লেজিয়ারিজম (চৌর্যবৃত্তি) নিষিদ্ধ:
- শিক্ষার্থীদের কাজ অবশ্যই তাদের নিজস্ব হতে হবে। অন্যের কাজ বা চিন্তা চুরি করা (প্লেজিয়ারিজম) গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতারণামূলক কাজ:
- পরীক্ষায়, অ্যাসাইনমেন্টে বা যেকোনো একাডেমিক কার্যক্রমে প্রতারণা বা অসততা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এটি প্রমাণিত হলে শিক্ষার্থীকে অ্যাসাইনমেন্টে শূন্য নম্বর প্রদান করা হতে পারে বা আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
সততা ও নিষ্ঠা:
- শিক্ষার্থীদের অবশ্যই তাদের একাডেমিক কাজ সততা এবং নিষ্ঠার সাথে সম্পন্ন করতে হবে। সঠিক তথ্য প্রদান এবং নিজের প্রচেষ্টায় শিক্ষালাভ করা প্রত্যাশিত।
৩. শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথে আচরণ
সহযোগিতা ও সহমর্মিতা:
- সহপাঠী ও শিক্ষকদের সাথে সর্বদা সহযোগিতাপূর্ণ ও সহমর্মিতাপূর্ণ আচরণ করতে হবে। একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল থেকে সহায়তা করা, শিক্ষালাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
বৈষম্যহীন আচরণ:
- জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, বা অন্য কোনো পরিচয়ের ভিত্তিতে বৈষম্য বা অসদাচরণ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। সবার প্রতি সম্মানজনক আচরণ করা অপরিহার্য।
বুলিং এবং হয়রানি নিষিদ্ধ:
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বুলিং বা হয়রানি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এ ধরনের আচরণ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কারণ হতে পারে।
৪. অভিযোগ এবং সমাধান প্রক্রিয়া
- শিক্ষার্থীরা যদি কোনও অসদাচরণের শিকার হন বা কোনও অভিযোগ থাকে, তবে তারা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত অভিযোগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সমস্ত অভিযোগ গোপনীয়ভাবে এবং দ্রুত সমাধানের জন্য বিবেচিত হবে।
2. শৃঙ্খলাজনিত ব্যবস্থা
শিক্ষার্থীদের অসদাচরণের জন্য নেওয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আচরণবিধির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। নিম্নলিখিত বিষয়গুলির জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে:
নকল বা প্রতারণা
- প্রথমবার নকল বা প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হলে, শিক্ষার্থীকে মৌখিক সতর্কীকরণ দেওয়া হবে এবং সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় শূন্য নম্বর দেওয়া হবে।
- পুনরায় একই অপরাধে জড়িত হলে, তাদের অ্যাসাইনমেন্টে শূন্য নম্বর দেওয়া হবে এবং বিষয়টি গভর্নিং বডির কাছে রিপোর্ট করা হবে।
- একই অপরাধে একাধিকবার যুক্ত হলে, শিক্ষার্থীকে সাসপেন্ড করা হতে পারে এবং পরবর্তী সেমিস্টারের জন্য প্রোগ্রাম থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে।
হয়রানি
- প্রথমবার হয়রানি অভিযোগ প্রমাণিত হলে, শিক্ষার্থীকে মৌখিক সতর্কীকরণ দেওয়া হবে এবং পরিস্থিতি বোঝার জন্য একটি আলোচনা সেশনে অংশগ্রহণ করতে হতে পারে।
- দ্বিতীয়বার একই অভিযোগ প্রমাণিত হলে, শিক্ষার্থীকে লিখিত সতর্কীকরণ দেওয়া হবে এবং কিছু সময়ের জন্য সাসপেন্ড করা হতে পারে।
- পুনরাবৃত্ত অভিযোগ প্রমাণিত হলে, শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হতে পারে।
বিগ্ন ঘটানো
- ক্লাসে বিঘ্ন ঘটানোর জন্য প্রথমবারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে, শিক্ষার্থীকে মৌখিক সতর্কীকরণ দেওয়া হবে।
- দ্বিতীয়বার একই অভিযোগ প্রমাণিত হলে, লিখিত সতর্কীকরণ দেওয়া হবে এবং ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে।
- তৃতীয়বার অভিযোগ প্রমাণিত হলে, শিক্ষার্থীকে সাসপেন্ড বা বহিষ্কার করা হতে পারে।
সাসপেনশন এবং বহিষ্কার
- কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শিক্ষার্থীকে ক্লাস বা প্রোগ্রাম থেকে সাসপেন্ড করা হতে পারে। সাসপেনশনকালীন, শিক্ষার্থী কোনো ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না এবং শিক্ষাক্রমের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
- গুরুতর অসদাচরণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে পুরোপুরি বহিষ্কার করা হতে পারে। বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে পুনরায় ভর্তি হতে পারবেন না এবং তাদের রেজিস্ট্রেশন ফি ফেরত দেওয়া হবে না।
অভিযোগ ও সমাধান প্রক্রিয়া
- অভিযোগ পাওয়ার পর, একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তা তদন্ত করা হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। সমস্ত অভিযোগ গোপনীয়ভাবে বিবেচিত হবে এবং শিক্ষার্থীর অধিকার রক্ষা করা হবে।
3. উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা:
১. উপস্থিতির জন্য ন্যূনতম শর্তাবলী
- শিক্ষার্থীদের ক্লাসের সময়সূচি অনুযায়ী ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে।
- যেসব শিক্ষার্থী এই ন্যূনতম উপস্থিতির শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হন, তাদের পরবর্তী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি নাও থাকতে পারে।
২. দেরি বা অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে নীতি
দেরি:
- যদি শিক্ষার্থী সময়মতো ক্লাসে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হন, তবে তাদের ক্লাসের মাঝখানে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে, তবে দেরি হওয়ার জন্য মৌখিক সতর্কীকরণ দেওয়া হতে পারে। ক্লাস চলাকালীন সময়ে ১৫ মিনিটের বেশি দেরি হলে শিক্ষার্থীকে সেই দিনের ক্লাসে অংশগ্রহণের অনুমতি নাও থাকতে পারে।
অনুপস্থিতি:
যেকোনো কারণে ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে, শিক্ষার্থীকে অবশ্যই শিক্ষকদের কাছে একটি লিখিত আবেদন দিতে হবে।
- স্বাস্থ্যজনিত কারণে অনুপস্থিতি:
যদি স্বাস্থ্যজনিত কারণে ক্লাসে অনুপস্থিত থাকতে হয়, তবে চিকিৎসকের একটি সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
- অন্য কারণ:
অন্য কোনো কারণে যদি শিক্ষার্থী ক্লাসে অনুপস্থিত হন, তবে অনুপস্থিতির কারণ উল্লেখ করে একটি লিখিত আবেদন জমা দিতে হবে।
অনুপস্থিতির জন্য ফলোআপ:
- শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে ক্লাসের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি জানিয়ে দেওয়া হবে এবং তাদের বিষয়বস্তু অনুসরণ করতে সহায়তার জন্য পড়াশোনার সহযোগিতা দেওয়া হবে।
৩. বিশেষ পরিস্থিতি
- যদি কোনো শিক্ষার্থী একাধিক ক্লাসে অনুপস্থিত হয় বা দেরি হয়, তবে তাদের ক্লাসের বিষয়বস্তু বুঝতে সমস্যা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষক বা উপদেষ্টা সঙ্গে আলোচনা করে অতিরিক্ত সহায়তা নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা হবে।
1. মেধাস্বত্ব: কাজের মালিকানা
১০ মিনিটে প্রোগ্রাম একাডেমিতে শিক্ষার্থীদের তৈরি প্রজেক্ট, অ্যাসাইনমেন্ট, বা শিক্ষাকালীন উপকরণের মালিকানা সম্পর্কে একটি সুনির্দিষ্ট নীতি অনুসরণ করা হয়। মেধাস্বত্বের অধিকার এবং কাজের মালিকানা নির্ধারণে নিম্নলিখিত নিয়মগুলো প্রযোজ্য:
- শিক্ষার্থীদের মালিকানা: সাধারণত, শিক্ষার্থীরাই তাদের তৈরি করা প্রজেক্ট বা অ্যাসাইনমেন্টের মালিক থাকে। তারা নিজেদের কাজের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ করে এবং সেই কাজের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পায়।
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধিকার: একাডেমি শিক্ষার্থীদের কাজ ব্যবহারের জন্য একটি সীমিত অধিকার রাখতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষার্থীর অনুমতি নিয়ে একাডেমি শিক্ষামূলক বা প্রচারমূলক কাজে তাদের কাজ ব্যবহার করতে পারে।
- সহযোগী প্রজেক্ট: যদি কোনো প্রজেক্ট শিক্ষার্থী এবং একাডেমির শিক্ষকদের যৌথ অবদানে তৈরি হয়, তাহলে কাজের মালিকানা এবং মেধাস্বত্ব যৌথভাবে নির্ধারিত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে উভয়ের সম্মতির ভিত্তিতে অধিকার নির্ধারিত হয়।
- প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় তৈরি কাজ: যদি প্রজেক্ট বা অ্যাসাইনমেন্ট কোনো বাহ্যিক সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়, তাহলে সেই সংস্থার সঙ্গে করা চুক্তির ভিত্তিতে মেধাস্বত্ব নির্ধারণ করা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক মালিকানা থাকলেও সংস্থাটি কাজ ব্যবহার করার অধিকার সংরক্ষণ করতে পারে।
- বাণিজ্যিক ব্যবহারের অধিকার: শিক্ষার্থীদের প্রজেক্ট বা অ্যাসাইনমেন্ট বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য একাডেমি তাদের থেকে অনুমতি নেয়। শিক্ষার্থীদের সম্মতি ছাড়া কোনো কাজ বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হবে না।
2. শিক্ষা উপকরণের ব্যবহার:
১০ মিনিটে প্রোগ্রাম একাডেমি শিক্ষার্থীদের শেখার জন্য বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করে, যেমন লেকচার রেকর্ডিং, মুদ্রিত কন্টেন্ট, প্রেজেন্টেশন স্লাইড, এবং ডিজিটাল ফাইল। এই উপকরণগুলো একাডেমির মেধাস্বত্বের আওতাধীন, তাই এগুলোর ব্যবহার ও বিতরণ সম্পর্কে কিছু বিশেষ নীতিমালা রয়েছে:
১. ব্যক্তিগত ব্যবহারের অনুমোদন
- শিক্ষার্থীরা তাদের শেখার উদ্দেশ্যে সরবরাহকৃত সব শিক্ষা উপকরণ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করতে পারে। অর্থাৎ, এই উপকরণগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব পাঠ্যক্রমের কাজ এবং পড়াশোনার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. বাহ্যিক বিতরণ নিষিদ্ধ
- পরীক্ষায়, অ্যাসাইনমেন্টে বা যেকোনো একাডেমিক কার্যক্রমে প্রতারণা বা অসততা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এটি প্রমাণিত হলে শিক্ষার্থীকে অ্যাসাইনমেন্টে শূন্য নম্বর প্রদান করা হতে পারে বা আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
৩. একাডেমির মালিকানা
- একাডেমি কর্তৃক তৈরি সকল শিক্ষা উপকরণ, যেমন লেকচার ভিডিও, স্লাইড, এবং অন্যান্য ডিজিটাল কন্টেন্ট, ১০ মিনিটে প্রোগ্রাম একাডেমির মালিকানাধীন। শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র তাদের শিক্ষার জন্য এগুলো ব্যবহার করতে পারবে। এই উপকরণগুলো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার, বিক্রয়, বা অন্যান্য পুনঃপ্রকাশ নিষিদ্ধ।
৪. অনুমতি সাপেক্ষে বিশেষ ব্যবহারের সুযোগ
- কিছু ক্ষেত্রে, যদি কোনো শিক্ষার্থী গবেষণা, প্রেজেন্টেশন বা অন্য শিক্ষামূলক কাজে ব্যবহার করতে চায়, তবে তাকে একাডেমির কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে। একাডেমি সেই বিশেষ ব্যবহারের ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
৫. কপিরাইট লঙ্ঘন ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
- এই নীতির লঙ্ঘন হলে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, যার মধ্যে একাডেমি থেকে বহিষ্কারও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এর পাশাপাশি, আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হতে পারে মেধাস্বত্ব আইন অনুসারে।
উপসংহার
১০ মিনিটে প্রোগ্রাম একাডেমি শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ এবং মানসম্মত উপকরণ সরবরাহ করে থাকে। তবে একাডেমির মেধাস্বত্ব সুরক্ষিত রাখা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক দায়িত্ববোধ তৈরি করার লক্ষ্যে এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই নীতির মাধ্যমে একাডেমি এবং শিক্ষার্থীদের উভয়ের অধিকার রক্ষা করা হয়, যা শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখতে সহায়ক।
1. শিক্ষার্থীদের তথ্য সুরক্ষা :
১. তথ্য সংগ্রহ:
তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্য:
- শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করা।
- প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করা এবং শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ও উন্নতির জন্য ডেটা বিশ্লেষণ করা।
- অভ্যন্তরীণ রিপোর্টিং এবং আইনি চাহিদা পূরণ করা।
২. তথ্য সংরক্ষণ:
৩. তথ্য ব্যবহার:
শিক্ষার্থীর তথ্য কেবল সেইসব উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে যা নীতিমালায় পূর্বেই নির্ধারিত:
- শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম: শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক মূল্যায়ন, উপস্থিতি রেকর্ডিং, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, এবং ছাত্রদের জন্য অন্যান্য সেবা প্রদান।
- যোগাযোগ: শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে যোগাযোগের জন্য তথ্য ব্যবহার করা হবে।
- অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণ: শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উন্নয়নের জন্য তথ্য বিশ্লেষণ করা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষার্থীদের পাঠ শেখার প্রক্রিয়া উন্নয়ন, পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ।
৪. তৃতীয় পক্ষের সাথে তথ্য ভাগাভাগি:
কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের তথ্য তৃতীয় পক্ষের সাথে ভাগাভাগি করা হতে পারে, তবে এতে কেবল আইনত অনুমোদিত ক্ষেত্রগুলো বিবেচনা করা হবে:
- সরকারি সংস্থা: আইনি দাবি পূরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় হলে শিক্ষার্থীর তথ্য সরকারের নির্দিষ্ট সংস্থার সাথে ভাগাভাগি করা হতে পারে।
- সেবা প্রদানকারী সংস্থা: কিছু সেবা প্রদানকারী যেমন অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম, পেমেন্ট গেটওয়ে, বা শিক্ষাবিষয়ক সফটওয়্যার কোম্পানির সাথে শিক্ষার্থীর তথ্য ভাগাভাগি হতে পারে, তবে এই সংস্থাগুলোর সাথে কড়া গোপনীয়তা চুক্তি থাকতে হবে।
- অভিভাবক/পিতামাতা: নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অভিভাবক বা পিতামাতার সাথে শিক্ষার্থীর একাডেমিক এবং আর্থিক তথ্য শেয়ার করা হতে পারে।
৫. শিক্ষার্থীদের অধিকার:
শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার অধিকার রাখে। এতে নিম্নলিখিত সুযোগগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে:
- তথ্য অ্যাক্সেসের অধিকার: শিক্ষার্থীরা তাদের নিজের ব্যক্তিগত তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারবে এবং তা দেখে নিশ্চিত হতে পারবে।
- তথ্য সংশোধনের অধিকার: যদি শিক্ষার্থী তাদের তথ্য ভুল বলে মনে করে, তবে তারা সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবে।
- তথ্য মুছে ফেলার অধিকার: নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী তাদের তথ্য মুছে ফেলার আবেদন করতে পারবে, যদি তথ্যের আর কোনো প্রয়োজন না থাকে বা আইনত মুছে ফেলা সম্ভব হয়।
৬. গোপনীয়তা নীতি:
- সচেতনতা: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সকল শিক্ষার্থীকে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে সংগ্রহ, সংরক্ষণ, এবং ব্যবহার করা হবে, তা সম্পর্কে অবহিত করবে।
- স্বচ্ছতা: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গোপনীয়তা নীতি স্পষ্ট, সহজবোধ্য এবং সকল শিক্ষার্থীর জন্য সহজলভ্য হবে।
- সম্মতি: শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারের আগে তাদের সম্মতি নেওয়া হবে। বিশেষ করে, সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ এবং ভাগাভাগির ক্ষেত্রে পূর্বানুমতি গ্রহণ করা হবে।
৭. নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
শিক্ষার্থীদের তথ্য সুরক্ষার জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে:
- ডেটা এনক্রিপশন: শিক্ষার্থীদের সকল ডেটা এনক্রিপ্ট করা হবে যাতে তা অননুমোদিত অ্যাক্সেস থেকে রক্ষা পায়।
- দুর্বলতা পরীক্ষা: নিয়মিতভাবে তথ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা পরীক্ষা করা হবে এবং সুরক্ষা আপডেট নিশ্চিত করা হবে।
- অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ: কেবলমাত্র অনুমোদিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্যের অ্যাক্সেস থাকবে, এবং এটি কঠোর নিয়ন্ত্রণের অধীনে থাকবে।
৮. আইনি বাধ্যবাধকতা:
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের তথ্য সুরক্ষা সম্পর্কিত সকল জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক আইনি নিয়মকানুন মেনে চলবে। এতে শিক্ষার্থীদের তথ্যের সুরক্ষা এবং গোপনীয়তার প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করা হবে।
2. যোগাযোগ পদ্ধতি:
১. গুরুত্বপূর্ণ আপডেটের জন্য যোগাযোগ পদ্ধতি:
- ইমেইল: একাডেমিক আপডেট, ক্লাস সময়সূচী, এবং জরুরি বিজ্ঞপ্তি শিক্ষার্থীদের ইমেইলের মাধ্যমে পাঠানো হবে।
- ফোন কল বা এসএমএস: জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ফোন কল বা এসএমএসের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য জানানো হবে।
- সফটওয়্যার আপডেট : যেখানে শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ, ক্লাস নোটিফিকেশন, এবং অন্যান্য বিজ্ঞপ্তি পেতে পারে। এই অ্যাপে শিক্ষার্থীরা যেকোনো সময় প্রবেশ করে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবে।
- টেলিগ্রাম মেসেজ: শিক্ষার্থীদের সাথে দ্রুত যোগাযোগের জন্য টেলিগ্রাম মেসেজের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পাঠানো হয়। এতে শিক্ষার্থীরা রিয়েল-টাইমে যে কোনো পরিবর্তন বা নতুন তথ্য সম্পর্কে অবগত থাকতে পারে।
২. মার্কেটিং যোগাযোগ থেকে অপ্ট-আউটের প্রক্রিয়া:
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের কাছে কোর্স বা নতুন ইভেন্ট সম্পর্কিত প্রোমোশনাল যোগাযোগ পাঠানো হলে, শিক্ষার্থীরা সহজেই সেগুলো থেকে অপ্ট-আউট করতে পারে। এই প্রক্রিয়াগুলো নিম্নরূপ:
- ইমেইল অপ্ট-আউট লিঙ্ক: প্রতিটি প্রোমোশনাল ইমেইলে একটি "Unsubscribe" বা "Opt-out" লিঙ্ক থাকবে।
- সফটওয়্যার সেটিংস: ১০ মিনিট প্রোগ্রাম সফটওয়্যারে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী যোগাযোগের সেটিংস কাস্টমাইজ করতে পারবে।
- টেলিগ্রাম অপ্ট-আউট: শিক্ষার্থীরা যদি টেলিগ্রাম মেসেজ পেতে না চায়, তবে তারা সহজেই টেলিগ্রামে প্রাপ্ত নির্দেশনা অনুযায়ী তা বন্ধ করতে পারবে।